Monday, March 21, 2016

সবার জানা উচিৎ এমন ৪৩টি জিএনইউ ও লিনাক্স কমান্ড
বাংলাদেশসহ পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে ধীরে ধীরে জিএনইউ + লিনাক্স ভিত্তিক মুক্ত অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার শুরু হয়েছে। যারা এতে নবীন, তাদের শিখার যোগ্য কিছু কমান্ড(আসলে সবগুলোই এক একটি প্রোগ্রাম) দিলাম। আশা করি কাজে আসবে।
নবীনদের জন্য কমান্ড – ১১ টি
clear – টার্মিনালের স্ক্রীন ক্লিয়ার করে।
cd – এই কমান্ড দিয়ে কমান্ড লাইন ইন্টারফেস থেকে কাজ করার ডিরেক্টরি পাল্টানো যায়। সোজা কথায়, একটা ফোল্ডার থেকে আরেকটা ফোল্ডারে ঢুকা যায়।
exit – কোনো প্রোগ্রাম থেকে বন্ধ করা, টার্মিনাল থেকে বের হয়ে আসা অথবা অবস্থার উপর ভিত্তি করে কোথাও থেকে বের হয়ে যাওয়া।
kill – কোনো প্রসেস বন্ধ করা। এটি অনেকটা খিড়কী(উইন্ডোজ)-এর টাক্স ম্যানেজারের “End Process”-এর মত।
ls – কোনো ডিরেক্টরির সব ফাইল দেখাতে ব্যবহৃত হয়। যদি কোনো ডিরেক্টরির প্যাথ বলে দেওয়া না থাকে, তবে যে ডিরেক্টরিতে ইউজার আছে সে ডিরেক্টরির সব ফাইল দেখাবে।
man – আমার মতে এই একটা কমান্ডের ব্যবহার শিখাই যথেষ্ট। কারণ এটি অন্য কমান্ড/প্রোগ্রামের ম্যানুয়ালের মত কাজ করে। অর্থাৎ, অন্য একটি কমান্ড/প্রোগ্রামের কিভাবে ব্যবহার করতে হয় তা দেখায়। man কমান্ড কিভাবে ব্যবহার করতে হয় তা জানতে টার্মিনালে টাইপ করুন:
pwd – আপনি বর্তমানে কোন ডিরেক্টরিতে আছেন তা দেখায়।
halt – আর্গুমেন্টের উপর ভিত্তি করে যতগুলো প্র
সেস চলছে, সবগুলো বন্ধ করে কম্পিউটার হল্ট, পাওয়ার অফ এবং রি-বুট করে।
reboot – যতগুলো প্রসেস চলছে, সবগুলো বন্ধ করে কম্পিউটার রি-স্টার্ট করে।
shutdown – চলমান সবগুলো প্রসেস বন্ধ করে কম্পিউটার বন্ধ করে।
sudo – সুপার ইউজার/রুট ইউজার হিসেবে কমান্ড এক্সিকিউট করে। আসলে sudo অর্থ হল Super User Do। এই কমান্ড ব্যবহার করে একজন ইউজার প্রায় যা খুশি তাই করার পার্মিশন পেয়ে যায়।
সিস্টেম সম্পর্কিত তথ্য জানতে – ৭ টি
date – স্ক্রীনে ঠিক সে সময় কি দিন, কি বার, কি সময় তা দেখান। বিশেষ আর্গুমেন্ট ইনপুট দিয়ে স্ক্রীনের আউটপুট পরিবর্তন করা যেতে পারে।
df – কোনো ফাইল সিস্টেমে কতটুকু জায়গা ব্যবহৃত হয়েছে তা স্ক্রীনে দেখায়।
hostname – বর্তমানে কম্পিউটারের যে হোস্ট (সোজা কথায় ইউজার) তার নাম দেখায়।
ps – সিস্টেমে চলমান সব প্রসেস সম্পর্কে সব তথ্য দেখায়।
top – সিস্টেমে চলমান টপ প্রসেসগুলো সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য দেখায়।
htop – এটি একটি টেক্সট বেজড ইন্টারফেস বিশিষ্ট সিস্টেম প্রসেস মনিটর। অনেকটা টাস্ক ম্যানেজারের কমান্ড লাইন বা টেক্সট বেজড ভার্সন। এটি আমার বেশ পছন্দের একটি প্রোগ্রাম।
uptime – কতক্ষণ ধরে মেশিন চলছে তা দেখায়। সার্ভার পরিচালনার জন্য এটি অনেক কাজে আস
ফাইল হ্যান্ডেলিং – ১৭ টি
bzip2 – প্রদত্ত আর্গুমেন্ট ইনপুটের উপর ভিত্তি করে .bz2 আর্কাইভ তৈরি এবং .bz2 আর্কাইভ সম্প্রসারণ করে।
chmod এবং chown – chmod দিয়ে এক বা একাধিক ফাইলের অ্যাকসেস পার্মিশন পরিবর্তন করা হয়। chown দিয়ে বিশেষ কোনো ফাইলের মালিকানা(ওনাশীপ) পরিবর্তন করা যায়। যে সকল ইউজারদের ফাইলের অ্যাকসেস পার্মিশন বা ওনাশীপ পরিবর্তন করার অ্যাকসেস আছে তারাই শুধু এই কাজ করতে পারবে।
cp – ফাইল কপি করার জন্য ব্যবহৃত হয়।
find এবং locate – ফাইল অনুসন্ধান করতে ব্যবহৃত হয়।
grep – ইউজার প্রদত্ত একটি লাইন(স্ট্রিং) সবগুলো ফাইলের মধ্যে অনুসন্ধান করে এবং যে যে ফাইলের মধ্যে ঐ লাইন পাওয়া যায় তা প্রদর্শন করে।
install – সিস্টেমে একটি ফাইল এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় কপি করা জন্য makefile-এর সাথে ব্যবহৃত হয়। (দয়া করে, সফটওয়্যার রিপোজিটরি থেকে প্যাকেজ ইন্সটল করার সঙ্গে বিভ্রান্ত হবেন না।)
mkdir এবং rmdir – mkdir দিয়ে ডিরেক্টরি তৈরি করা হয় এবং rmdir দিয়ে ডিরেক্টরি মুছে ফেলা হয়। ইউজারের অ্যাকসেস পার্মিশন থাকলেই কেবল সে ডিরেক্টরি তৈরি কিংবা মুছে ফেলতে পারবে।
mv – সাধারণত একটি ফাইল এক ডিরেক্টরি থেকে অন্য ডিরেক্টরিতে নিয়ে যেতে ব্যবহৃত হয়।
md5sum/sha1sum/sha256sum – ফাইলের সাধুতা বা সম্পূর্ণতা পরীক্ষা করতে ব্যবহৃত হয়।
rm – ফাইল এবং ডিরেক্টরি মুছে ফেলতে ব্যবহৃত হয়।
tar – প্রদত্ত আর্গুমেন্ট ইনপুটের উপর ভিত্তি করে .tar আর্কাইভ তৈরি এবং .tar আর্কাইভ সম্প্রসারণ করে।
zip এবং unzip – প্রদত্ত আর্গুমেন্ট ইনপুটের উপর ভিত্তি করে .zip আর্কাইভ তৈরি এবং .zip আর্কাইভ সম্প্রসারণ করে।
7za – প্রদত্ত আর্গুমেন্ট ইনপুটের উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন আর্কাইভ(7z, zip, tar ইত্যাদি) তৈরি করে এবং এসব আর্কাইভ সম্প্রসারণ করে।
উল্লেখযোগ্য আরও কিছু কমান্ড – ৮ টি
apt-get – মূলত এটি একটি অ্যাডভান্স প্যাকেজিং টুল। এটি ব্যবহার করে সফটওয়্যার প্যাকেট ইন্সটল করা, মুছা এবং কনফিগার করা যায়। আর টেক্সট বেসড ইন্টাফেস (টুই) চাইলে ডেবিয়ান ভিত্তিক ডিস্ট্রোর জন্য aptitude কমান্ড আছে।
ftp এবং sftp – এফটিপি সার্ভারের সাথে কানেক্ট এবং অনেকগুলো ফাইল ডাউনলোড করতে ব্যবহৃত হয়।
wget – ইউজার প্রদত্ত ইউআরএল থেকে ফাইল ডাউনলোড করে।
emacs এবং gedit – আমার পছন্দের এবং অন্যতম একটি টেক্সট এডিটর এবং আইডিই।
nano – নবীনদের জন্য একটি ইউজার ফ্রেন্ডলী টেক্সট এডিটর। প্রোগ্রামিংয়ের জন্য আমার সবচেয়ে পছন্দের টেক্সট এডিটর। (আগে ছিল। এখন vim বেশি ব্যবহার করা হয়।)
vim – vi টেক্সট এডিটরে উন্নত ভার্সন, দু’টোই ইউনিক্স-লাইক অপারেটিং সিস্টেমের জন্য কমান্ড লাইন টেক্সট এডিটর। যদিও এটির গ্রাফিকাল ইউজার ইন্টারফেস বা বাটন, আইকন নেই তবুও নবীনদের জন্য এটি একটি জনপ্রিয় ইউজার ফ্রেন্ডলী টেক্সট এডিটর।
https://www.facebook.com/najmuz 

No comments:

Post a Comment